Summary
১. বাবুদের বাড়ির ছেলেরা খুব ভালো, তারা লেখাপড়ায় ভাল এবং স্কুলে জনপ্রিয়। তাদের রবীন্দ্রনাথের ‘গল্পগুচ্ছ’ পড়ানো হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত বহুবচন শব্দগুলোর তালিকা তৈরি করে প্রাণিবাচক এবং অপ্রাণিবাচক শব্দ নির্দেশ করতে হবে।
২. লেখকের বাবা একজন শিক্ষক এবং চাচা ডাক্তার। মামা পুলিশ অফিসার, দাদি ও নানি তাকে ভালোবাসেন। বাড়িতে একজন গৃহকর্মী (আয়া) আছেন। লেখক গান শেখেন একজন বড় গায়কের কাছে এবং মালী ফুল গাছের যত্ন নিতে শেখান। তার বন্ধু মালাও দোশালপুরের গল্প শোনে, যার একটি বিড়াল আছে। এই অনুচ্ছেদে বিভিন্ন লিঙ্গবাচক শব্দ খুঁজে বের করে শ্রেণির একটি তালিকা তৈরি করতে হবে।
৩. লেখক নদী পার হয়ে কুমোরদের গ্রামে মাটির কাজ দেখছেন। ওরা হাঁড়ি, পাতিল, সরা তৈরি করছে এবং ফলকের কাজে নকশা তৈরি করছে। বিশেষ্য (সংজ্ঞাবাচক, শ্রেণিবাচক, সমষ্টিবাচক) ও ক্রিয়া (সমাপিকা, অসমাপিকা) পদ খুঁজে একটি ছক তৈরি করতে হবে।
৪. সাধারণ বর্তমান কালের কয়েকটি বাক্য উদাহরণস্বরূপ বানাতে হবে। যেমন:
ক. চণ্ডীদাস বলেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’
খ. এখন তবে আসি।
১. বাবুদের বাড়ির ছেলেগুলো খুব ভালো। তারা বিস্তর লেখাপড়া করে। সকল লোক তাদের ভালোবাসে। স্কুলে ওরা শিক্ষকমণ্ডলীর নয়নমণি। তারা বন্ধুমহলেও অনেক জনপ্রিয়। গুরুজনেরা ওদের রবীন্দ্রনাথের ‘গল্পগুচ্ছ’ পড়িয়েছেন।
—উপরের অনুচ্ছেদটিতে মোটা দাগের শব্দগুলো বহুবচন প্রকাশক প্রত্যয় ও শব্দ। এগুলো তোমার খাতায় লেখ। তারপর এগুলোর কোনটি প্রাণিবাচক কোনটি অপ্রাণিবাচক বা কোনটি উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তা একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ কর।
২. আমার বাবা একজন শিক্ষক। চাচা সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। আমার মামা একজন পুলিশ অফিসার। আমার দাদি ও নানি আমাকে খুব ভালোবাসেন। আমাদের একজন গৃহকর্মী আছে, তাকে সবাই বলে আয়া। আমি ওস্তাদের কাছে গান শিখি। আমার ওস্তাদ একজন বড় গায়ক। আমাদের মালী আমাকে ফুল গাছের যত্ন করতে শেখায়। রাজা-বাদশাহ, রাক্ষস-দানব-ভূত-পিশাচের গল্প শোনায়। আমার বন্ধু মালাও এসব গল্প শোনে। তার একটি মেনি বিড়াল আছে, সেটিও শোনে।
—উপরের অনুচ্ছেদ থেকে বিভিন্ন লিঙ্গবাচক শব্দগুলো খুঁজে বের কর এবং সেগুলোর কোনটি কোন শ্রেণির লিঙ্গের অন্তর্গত তালিকাকারে লেখ।
৩. নদী পার হয়ে, ওপাড়ে কুমোরদের একটা গ্রামের ভেতরে সারাদিন দেখছি ওদের মাটির কাজ। হাঁড়ি পাতিল সরা সানকি তৈরি করছে ওরা। বেশি কৌতূহল নিয়ে দেখেছি ফলকের কাজ। মাটির ফলকে ফুলের নকশা, রবীন্দ্রনাথ, বেণীবন্ধনরত যুবতীর চিত্র, জয়নুলের আঁকা গরুর চাকা ঠেলে তোলার প্রতিলিপি, উড়ন্ত পরী, ময়ূরপঙ্খি নৌকোর চিত্র, চোখ বুজে নজরুল যে বাঁশি বাজাচ্ছেন, সেই ফটোগ্রাফের নকল। বাঁশবনে আচ্ছন্ন শীতল একটি গ্রামে, অবিশ্বাস্য ঝিম ধরা নীরবতার ভেতরে, সবুজ শ্যাওলা ধরা কুমোরদের প্রাঙ্গণে সার দিয়ে সাজানো রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জয়নুল।
—উপরের অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষ্য (সংজ্ঞাবাচক, শ্রেণিবাচক, সমষ্টিবাচক), ক্রিয়া (সমাপিকা, অসমাপিকা) পদগুলো খুঁজে বের করে একটি ছক তৈরি কর।
৪. সাধারণ বর্তমান কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ দেখিয়ে কয়েকটি বাক্য বানাও। যেমন :
ক. চণ্ডীদাস বলেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
[অতীত কালের অর্থে, প্রাচীন লেখকের উদ্ধৃতি দিতে]
খ. এখন তবে আসি।
[ভবিষ্যৎ কালের অর্থে, অনুমতি প্রার্থনায়]
Read more